সিএমপি কার্যালয় ঘেরাও: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মিছিলকারীদের গ্রে’প্তা’র করতে ছাত্রদের আল্টিমেটাম

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে মিছিলকারীদের গ্রেপ্তার করতে না পারলে সিএমপি পুলিশ কমিশনারকে পদত্যাগ করতে হবে। রাতের অন্ধকারে গণহত্যায় জড়িত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা রাস্তায় নেমে স্লোগান দিয়েছে। এখানে প্রশাসনের ব্যর্থতা আছে। দেশের স্বার্থে কাজ করুন। নয়তো আপনাদের বিরুদ্ধেও আমাদের আওয়াজ উঠবে।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রামের প্রেস ক্লাবের বিক্ষোভ শেষে হাজারো শিক্ষার্থী চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কার্যালয় ঘেরাও করেন।

এতে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালিয়ে হত্যা ও নির্যাতনের অপরাধে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবেও আখ্যায়িত করার দাবি জানিয়েছেন ছাত্ররা।

বিক্ষোভে অংশ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ‘যারা জুলাই অভ্যুত্থানে আমাদের ওপর গুলি চালিয়েছে, আমাদের ভাই-বোনদের হত্যা করেছে। নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে আমরা দেখতে পাচ্ছি তারা এখনো অবাধে ঘোরাফেরা করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাঁরা ভেবেছিল আমরা ঘুমাইয়া গেছি, তারা বুঝেনি আমরা তাদের গর্ত থেকে বের হওয়ার সুযোগ দিয়েছি। আমরা পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই যারা এখনো খুনি হাসিনার পক্ষ নিয়ে, স্বৈরাচারের পক্ষ নিয়ে যারা জুলাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত- তারা কোনো না কোনোভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।’

তিনি বলেন, আমরা চাই দ্রুত তাদের খুঁজে বের করে বিষদাত ভেঙে দিতে। প্রশাসনের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে দ্রুত সময়ের মধ্যে যারা সন্ত্রাসী, জুলাই অভ্যুত্থানে হামলায় সরাসরি জড়িত তাদের গ্রেফতার করে যথাযথ শাস্তি দিতে হবে।

এখনো শহীদের রক্তের দাগ শুকায়নি উল্লেখ করে খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, যে চট্টগ্রামের মাটিতে শহীদ ওয়াসিম, শহীদ শান্ত এবং শহীদ হৃদয় তরুয়ার রক্ত লেগে আছে সেই রাজপথে তারা স্লোগান দেওয়ার মত দুঃসাহস দেখিয়েছে। আমরা মনে করি এখানে প্রশাসনের ব্যর্থতা রয়েছে।

এর আগে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিকেল ৩টা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রেস ক্লাব চত্বরে সমবেত হতে থাকেন। বিকেল ৪টার দিকে প্রেস ক্লাব চত্বর ছাড়িয়ে জামালখান পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে সমাবেশ। বিক্ষোভে অংশ নেন অনেক নারী শিক্ষার্থীও।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত। খুব গুরুত্বের সাথে প্রশাসন বিষয়টি দেখছেন। ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

গত শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দিনগত রাত পৌনে একটার দিকে কোতোয়ালী থানার জামালখান সড়কে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন যুবক জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিয়ে মিছিল বের করে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email