ভু’য়া সার্টিফিকেট-নিয়োগ বা’নিজ্যের অ’ভিযোগ  হাশিমপুর এমএকেইউ স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বি’রুদ্ধে

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি ও লুটপাটের চিত্র ভেসে ওঠে বিভিন্ন অফিস -আদালতে। অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে অনেকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও বেশকিছু দুর্নীতিবাজ ও অনিয়মকারী রয়েছে দেশে। তেমনি এক অনিয়মের চিত্র উঠে আসে দৈনিক বায়েজিদের অনুসন্ধানে। অনিয়ম কে নিয়ম বানিয়ে চট্টগ্রামের চন্দনাইশে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাশিমপুর এম এ কে ইউ স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক নোমান শফির বিরুদ্ধে নানান অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাব কাটিয়ে ভুয়া সার্টিফিকেট,জাল সনদ,নিয়োগ বানিজ্য, টাকা দিয়ে এমপিওভুক্ত করন সহ চলছে নানান অনিয়মের লুটতরাজ। স্কুলটি যেন অনিয়ম ও লুটপাটের ব্যবসায়ী জোন। প্রধান শিক্ষকের কিছু অনুসারীদের দিয়ে চলছে এসব।

ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী জানান, স্কুলের প্রধান শিক্ষক নোমান শফি ‘তাজকিয়াতুল জান্নাত অহনা নামের এক ভুয়া শিক্ষার্থীর নাম দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন উপবৃত্তির টাকা। দৈনিক বায়েজিদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে এসব তথ্য। সে শিক্ষার্থী আর কেউ নই, প্রধান শিক্ষক নোমান শফির একমাত্র আদরের কন্যা অহনা। নিজের মেয়েকে ঐ স্কুলের শিক্ষার্থী দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এসব উপবৃত্তির টাকা পকেটে নিতেন তিনি। তবে ভুয়া শিক্ষার্থী ও উপবৃত্তির টাকা গিলে খাওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে উচ্চ মহলকে হাত করে ধামাচাপা দেন বলে জানা যায়।

শিক্ষার্থীরা আরো জানান, সার্টিফিকেট উত্তোলন, প্রত্যায়ন পত্র,প্রশংসা পত্র, চারিত্রিক সনদ, রেজিষ্ট্রেশন ফি, ভর্তি ফি সহ বিভিন্ন ভাবে নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।
অভিভাবকরা জানান, ২০১৮ সালে হাশিমপুর এম এ কে ইউ স্কুল এন্ড কলেজে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে আসেন নোমান শফি। দায়িত্বে পাওয়ার পর থেকে স্কুলের চিত্র যেন অনিয়ম ও লুটপাটের ব্যবসায় পরিনত হয়েছে। বিদ্যালয়ে যোগদানের পর অনিয়ম, দুর্নীতি,সেচ্ছাচারিতা এবং লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার শুরু হয়৷ কোনো অভিভাবক শিক্ষার্থীর পড়াশোনার বিষয়ে জানতে আসলে তাদের সাথে গরম মেজাজের কথা বলতেন তিনি।

এদিকে স্কুলের নানান অনিয়ম ও লুটপাটের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক নোমান শফি’র সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি জানান, সবকিছু বিধি-মোতাবেক হয়েছে। বেশকিছু অনিয়মের বিষয়ে কথা বলতে চাইলে ফোন কেটে দেন । তারপর থেকে বন্ধ পাওয়া যায় প্রধান শিক্ষকের মুঠোফোন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email