টেকনাফে এক জালে ধ’রা পড়ল লক্ষাধিক টা’কার ইলিশ

কক্সবাজারের টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকার নৌকার মালিক হাফেজ ইয়াকুবের জালে ১১০ পিস ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে।

রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে মাঝিমাল্লারা দক্ষিণ লম্বরী নৌকা ঘাটে ধরা পড়া মাছগুলো বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন।

বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করে মেরিন ড্রাইভ উত্তর লম্বরী ঘাটে মাছগুলো বিক্রির জন্য নিয়ে আসা হয়।

মাছ ব্যবসায়ীরা আবুল কাশেম প্রকাশ ভুলু খবর পেয়ে নৌকার ঘাটে গিয়ে ১১০ পিস ইলিশ মাছ দেখতে পায়। পরে নৌকার মাঝি ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মাছের দাম হাঁকান। ব্যবসায়ীরা দর কষাকষি করে ১ লক্ষ ২১ হাজার টাকা দামে ক্রয় করেন। ১২ শত গ্রামের মাছ প্রতি কেজি ১৫ শত টাকা দামে মোট ৫৫ কেজি মাছ।

৮/৯ শত, গ্রামের মাছ, প্রতি কেজি ১ হাজার ৫০ টাকা দামের মোট ৩০ কেজি। ৪/৫ শত, গ্রামের মাছ প্রতি কেজি ৭ শত টাকা দামের মোট ১১ কেজি।

নৌকার মাঝি আমির আহমদ বলেন, শনিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মাঝিমাল্লাসহ আমরা ৫ জন সাগরে মাছ শিকার করতে যায়। পরে সাগরে জাল ফেলে মধ্যরাতে জাল টেনে তুলতেই দেখতে পাই ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। ইলিশ মাছ গুলো পেয়ে আমরা অনেক খুশি হয়েছি।

মাছ শিকার করতে পারলে আমাদের সংসার সুন্দরভাবে চলতে পারে। তাই আমরা জেলেরা অনেক খুশি হয়েছি।

নৌকার মালিক হাফেজ ইয়াকুব বলেন, গতকাল দুপুরে নৌকা নিয়ে বঙ্গোপসাগরে মাঝিমাল্লারা মাছ শিকার করতে যায়। মধ্যে রাতে নৌকার মাঝি আমির আহমদ ফোন করে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ অনেক ইলিশ মাছ পেয়েছি। ভোরের দিকে নৌকা ঘাটে গিয়ে দেখি অনেক ইলিশ মাছ পেয়েছে , গণনা করে দেখি ১১ পিস ইলিশ মাছ। মাছ গুলো দেখে অনেক খুশি হয়েছি।

টেকনাফ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, মাছ ধরা বন্ধের নির্দেশনা মেনে চলার কারনে পরবর্তীতে সাগর খুলে দেওয়া হলে জেলেদের জালে ছোট বড় অনেক বেশি বিভিন্ন জাতের মাছ ধরা পড়ে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email