তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণায়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম গণহত্যায় উসকানিদাতাদের বিচারের আওতায় আনার ওপর গুরুতারোপ করেছেন। তিনি বলেন, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে যারা ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন কিংবা গণহত্যায় উসকানি দিয়েছেন; তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে।
নাহিদ ইসলাম ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত বলতে বুঝিয়েছেন, বিভিন্ন লেখনি ও মতামতের মাধ্যমে জনমত তৈরি করে গণহত্যার পক্ষে পরোক্ষভাবে কাজ করেছেন এবং গণহত্যার জন্য উসকানি দিয়েছেন; তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে। কেবল সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও কবি পরিচয়ে কেউ রেহাই পাবেন না।
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা মামলা সম্পর্কিত অপর এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, মামলাগুলো সরকার করছে না; জনগণ তাদের জায়গা থেকে করছে। অনেক ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত শত্রুতার জায়গা থেকেও মামলা করা হচ্ছে। সেই জায়গা থেকে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি এবং আশ্বস্ত করেছি যে, এই মামলাগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে পর্যালোচনা করা হবে। তদন্ত করে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত না হলে তাকে মামলা থেকে রেহাই দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঠিক হয়ে যায়; জননিরাপত্তা যাতে নিশ্চিত হয়; আমরা যেহেতু একটি জরুরি পরিস্থিতিতে আছি; দেশ পুনর্গঠন করতে হচ্ছে; সেহেতেু সেনাবাহিনীকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই মাসের জন্য এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই সময়ের মধ্যে পুলিশ বাহিনীকে সম্পূর্ণ সংস্কার করে আরও শক্তিশালী ও আস্থার জায়গায় নিয়ে এসে তাদের মাঠে ফিরিয়ে আনা হবে। এ কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের ‘গুজব শনাক্তকরণ সেল’ সম্পর্কে জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা ফ্যাক্টচেকিং নিয়ে বিভিন্ন অংশীজন ও মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলছি। কীভাবে ফ্যাক্টচেকিং বিষয়টি আরও শক্তিশালী করা যায়; সেটা নিয়ে ভাবছি।
একটি ফ্যাক্টচেকিং সেল করার পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যাতে এ ধরনের গুজবের সত্যতা যাচাই করে মানুষের কাছে সত্য তুলে ধরা যায়; মানুষ যাতে গুজব ও মিথ্যায় প্রভাবিত না হয়; সে জন্য আমরা ফ্যাক্টচেকিং নিয়ে ভাবছি।
এর আগে নাহিদ ইসলাম ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড’ এবং জুড়ি বোর্ডের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।