টানা ভারি বর্ষনের ফলে ফটিকছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত জনজীবনের দুর্ভোগ

ফটিকছড়িতে টানা ভারি বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলের কারণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত জনজীবনে দুর্ভোগ। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন স্হানে। ইতিমধ্যে হালদা নদী, ধূরুং খাল,সর্তা খালের পানি বিপদ সীমানা উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শংকায় দিন কাটছে পাড়ের প্রাদদেশের বাসিন্দারা। ভাঙ্গা বাঁধের ভাঙ্গাণ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

নাজিরহাট বাজার, বিবিরহাট বাজার, নানুপুর বাজারসহ বিভিন্ন হাটবাজার ও তার আশেপাশের এলাকায় চরম জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। দূর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকা বাসী।নাজিরহাট ঝংকার এলাকা সড়কের উপর গাছ ভেঙ্গে পড়ে দীর্ঘক্ষণ যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

নাজিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী মোঃ ছালাহ উদ্দিন বলেন ভারীবর্ষনের কারণে নাজিরহাট বাজারের চরম জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন দোকানে পানি ঢুকে পড়েছে। এমতাবস্থায় ক্রেতা বিক্রেতাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নাজিরহাট এলাকার মোঃ জামির বলেন আমাদের বাড়িসহ আশেপাশের বিভিন্ন বাড়িতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। চলাচলের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আমাদের। ফটিকছড়ি, হারুয়ালছড়ি, বাগানবাজার, দাতঁমারা, নারায়নহাট, ভুজপুর, সুন্দরপুর, কাঞ্চননগরের বিভিন্ন স্হানে প্লাবিত হয়েছে। প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন গ্রামীন সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

এ ছাড়া সুয়াবিল, লেলাং সমিতিরহাট,জাপতনগর,খিরাম ধর্মপুর, পাইন্দং রোসাংগীরি আব্দুল্লাহপুরসহ বিভিন্ন নিম্ম অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানি বন্ধী হয়ে পরেছে বিভিন্ন এলাকার মানুষ। এদিকে বৃষ্টি অব্যহত থাকায় ফটিকছড়ির আরো বহু এলাকায় প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিভিন্ন সড়ক অনেক বসত ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। লেলাং ইউনিয়নের সদস্য মুহাম্মদ ইফেকার উদ্দিন মুরাদ বলেন আমাদের এলাকায় বর্তমানে অতিরিক্ত বৃষ্টি কারণে বন্যা সৃষ্টি আশংকা দেখা দিয়েছে। সেই সাথে ফটিকছড়ি বড় বড় খালের বাধঁ ভাঙ্গন ও কুতুবছডি খালের সুইস গেইট এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। তাই সবাইকে সর্তক থাকার জন্য অনুরোধ করছি।

যাদের বাড়ি ঘরে পানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের সাবধানে রাখতে এবং গবাদিপশু সহকারে নিরাপদে স্হানে পাটিয়ে দেওয়ার এলাকাবাসির প্রতি আহবান জানান তিনি।

বৃষ্টি পানি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে চাষের জমিসহ অনেক পুকুরের মাছ ইতিমধ্যে তলিয়ে গেছে।

ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন যে সব নদী খালের বাঁধ ঝুকিতে রয়েছে আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করেছি। যেখানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে এই মুহূর্তে জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব না হলেও মানুষের জানমাল যাতে নিরাপদ থাকে স্হানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে খবরাখবর রাখা ব্যবস্হ হচ্ছে।

তিনি বলেন বাগানবাজার,দাতঁমারা, নারায়নহাট, ভুজপুর, হারুয়ালছড়ি, কাঞ্চননগর ও খিরাম ইউনিয়নে পাহাড়ের পাদদেশে যারা বসবাস করছেন তাদেরকে মাইকিং করে নিরাপদ স্হানে সরে যাবার অনুরোধ করেছি। তবে এখন ও পর্যন্ত বন্যা দূর্গত এলাকার জন্য কোনো ত্রাণসামগ্রী বরাদ্দ হয়নি বলে জানান।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email