চট্টগ্রামের চন্দনাইশে উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন আহমেদ ও পৌর মেয়র মাহবুবুল আলম খোকা কে অপসারণ করেছে স্থানীয় সরকার।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুটি পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ দুটি জারি করা হয়েছে। বর্তমানে উপজেলা চেয়ারম্যানের স্থলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা বেগম কে উপজেলা প্রশাসক ও চন্দনাইশ পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডিপ্লোম্যাসি চাকমা।
সোমবার দুপুরে সরকারে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই তথ্য জানা গেছে। প্রজ্ঞাপনে বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে নির্বাচিত সারাদেশের ৪৪৫ উপজেলা ও ৩০০ পৌরসভার চেয়ারম্যান ও মেয়রকে অপসারণ করা হয়। এর পেক্ষিতে চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে জসিম উদ্দিন আহমেদ ও মাহবুবুল আলম খোকা কে অপসারণ করা হয়।
উল্লেখ্য, উপজেলা চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে। আওয়ামী লীগের একাংশ ও এলডিপির সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে জয় লাভ করে।
এদিকে নির্বাচনে জয়ী হয়ে সে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অনেক সিনিয়র নেতা এবং স্থানীয় সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সাথে বিজয়ী শুভেচ্ছা জানাতে দেখা যায়।
পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে সভা-সমাবেশ করতে দেখা যায়।
পরবর্তীতে, গত (৫ আগষ্ট) বৈষম্যে বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর হঠাৎ রুপ পরিবর্তন করে এলডিপির বিজয় মিছিলে যোগ দেন।
এতে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম চৌধুরী’র বিরুদ্ধে স্লোগান সহ বিভিন্ন অপপ্রচার করতে দেখা গেছে। গত (১৯ আগষ্ট) উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারিত হওয়ার পরে তিনি এলাকা ছাড়া হয়ে যান বলে জানান এলাকাবাসী।
অপরদিকে, চন্দনাইশ পৌরসভার মেয়র মাহাবুবুল আলমের সীমাহীন দুর্নীতি, ব্যাপক অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্যানেল মেয়রসহ ১২ কাউন্সিলর তার বিরুদ্ধে একজোট হয়েছেন। তার অপসারণ চেয়ে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে কাউন্সিলররা অভিযোগ করেছেন। চন্দনাইশ পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় নিশ্চিত করেছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যম সংবাদে দেখা যাই। মেয়র মাহাবুবুল চন্দনাইশ পৌরসভাকে অনিয়ম-দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছেন।
এবিষয়ে, উপজেলা চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আহমেদ ও পৌর মেয়র মাহবুবুল আলম খোকা’র মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে। তাদের মুঠোফোন বন্ধ থাকার কারনে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।