এম হেলাল উদ্দিন নিরব: চন্দনাইশে মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক। এগুলোর সংখ্যা দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে আশংকাজনক হারে। উপজেলাসহ পাশ্ববর্তী এলাকার প্রায় ৫ শতাধিক এই ধরনের যানবাহন রয়েছে। যাতে দৈনিক চার্জে গড়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে ১৫শ থেকে ১৭শ ইউনিট। সেইসাথে দৈনন্দিন বিদ্যুতের অপচয়সহ লোডশেডিংয়ের মাত্রাও বেড়েই চলেছে পাশাপাশি।
এদিকে লোডশেডিংয়ের জন্য গ্রাহকেরা এবং সচেতনমহল ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইককেই দায়ী করছে। কারণ ওইসব যানবাহন ব্যাটারি চার্জ দিয়ে চালাতে হয়। যা বর্তমানে এই বিদ্যুত সংকটে আরও সমস্যা বৃদ্ধি করছে। তাছাড়া এসব যানবাহন শুধু বিদ্যুৎ নয়, মূল শহরে যানজটও সৃষ্টি করছে। এসব যানবাহনের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।
অপরদিকে সচেতন বিজ্ঞমহলের মতে, ওইসব ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইকের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় চন্দনাইশ পৌরসভা, দোহাজারী পৌরসভাসহ উপজেলার কাঞ্চনাবাদ, জোয়ারা, বরকল, বরমা, বৈলতলী সাতবাড়ীয়া, হাশিমপুরের বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে চার্জ দেওয়ার নামে অবৈধ গ্যারেজ।
যার ফলে বিদ্যুতের সিংহভাগই এই অটোরিকশাই গিলে খাচ্ছে। আর ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকসহ সর্বসাধারনের ।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অনেক স্থানে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গড়ে উঠা গ্যারেজগুলোতে মাসিক চুক্তি ভিত্তিতে দেয়া হয় চার্জ। অনেক অটো রিকশার মালিক মাসিক চুক্তিতে ওইসব গ্যারেজে রাখছে এইসব যানবাহন।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক নুরুল ইসলাম জানান, ব্যাটারি চার্জসহ থাকার জন্য গ্যারেজ মালিককে প্রতি রিকশা ও ভ্যানগাড়ি বাবদ ৫০ টাকা দিতে হয়।
আর চালককে মালিকপক্ষকে দিতে হয় দৈনিক ২৫০ টাকা। সে আরও জানায়, মালিককে ২৫০ টাকা দেওয়ার পরও পুরোদিনে ৮’শ থেকে ১ হাজার টাকা রোজগার হয়। এবং প্যাডেল রিক্সার মত পরিশ্রম কম হওয়ায় যে কোন বয়সের এবং কোন প্রশিক্ষণ ছাড়াই সবাই ঝুঁকে পড়ছেন এই পেশায়।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোহাম্মদ ইরফান জানান, এসব ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার কোন শ্রমিক ইউনিয়ন, বা কোন সংগঠন না থাকায় মোট কয়টি অটোরিকশা ও ভ্যান আছে তার সঠিক তথ্য বা পরিসংখ্যান নাই । তবে আনুমানিক তিন থেকে চার শতাধিক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ভ্যান রয়েছে বলে ধারনা করছেন তিনি।
চন্দনাইশ উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম আবু সুফিয়ান জানান, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা গুলো মিটার থেকে বিল পরিশোধের মাধ্যমে চালায়। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আমাদের কোন সুযোগ নাই।