ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় বেরিল, আঘাত হানবে যেসব দেশে

আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বেরিল দক্ষিণ-পূর্ব ক্যারিবীয় অঞ্চলের দিকে ধেয়ে আসছে। ক্যাটাগরি ৪-এ পৌঁছানো এই ঘূর্ণিঝড়টিকে ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ বলে অভিহিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এটি ঘণ্টায় ১৭৯ কিলোমিটার বেগে কয়েকটি দেশে আঘাত হানতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলের কাছাকাছি বড় এবং ধ্বংসাত্মক ঢেউ নিয়ে আসতে পারে উল্লেখ করেছে ইউএস ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার।

ইউএস ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের (এনএইচসি) বরাতে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় সোমবার (১ জুলাই) এই ঘূর্ণিঝড়টি ক্যারিবীয় দ্বীপে ভয়াবহ তাণ্ডব চালাতে পারে।

রোববার রাত স্থানীয় সময় ৮টা পর্যন্ত বেরিল বার্বাডোসের প্রায় ২০০ মাইল পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল এবং ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩০ মাইল বেগে বাতাস বইছিল ও ১৮ মাইল প্রতি ঘণ্টায় এটি পশ্চিমে চলছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় বেরিল বার্বাডোস, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট, গ্রেনাডাইনস, গ্রেনাডা, মার্টিনিক, টোবাগো ও ডোমিনিকাসহ গোটা ক্যারিবীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। এরই মধ্যে এসব দেশে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

ক্যাটাগরি ৪-এ পৌঁছানো ঘূর্ণিঝড়টিকে ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ বলে অভিহিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, মাত্র ৪২ ঘণ্টার মধ্যে এটি প্রবল আকার ধারণ করেছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, ‘বেরিল’ এখন পর্যন্ত আটলান্টিক মহাসাগরে রেকর্ড করা প্রথম এবং জুন মাসে রেকর্ড করা একমাত্র ক্যাটাগরি ৪ হারিকেন।
ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলের কাছাকাছি বড় এবং ধ্বংসাত্মক ঢেউ নিয়ে আসতে পারে উল্লেখ করে এনএইচসি বলছে, ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ এলাকায় যেখানে মূল অংশটি আছড়ে পড়তে পারে, সেখানে এবং তার কাছাকাছি উপকূলীয় অঞ্চলে ৬ থেকে ৯ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের ডিরেক্টর মাইক ব্রেনান সিএনএনকে বলেন, আমরা দ্রুত তীব্রতা (ঝড়ের) বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিচ্ছি এবং বার্বাডোস ও উইন্ডওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জের মতো জায়গায় পৌঁছানোর আগে বেরিল একটি বড় হারিকেন হয়ে উঠবে। এছাড়া পূর্ব ও মধ্য ক্যারিবীয় অঞ্চলে অগ্রসর হওয়ার পরও এটি শক্তিশালী থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email