ফটিকছড়িতে কো’রবানিতে বেড়েছে ম’হিষের চাহিদা

নুরুল আবছার নূরী: ফটিকছড়িতে কোরবানি পশু হিসাবে মহিষের চাহিদা বাড়ছে। বিভিন্ন হাটবাজারে ও খামারে ক্রেতাদের চাহিদাকে সামনে রেখে বেপারি ও খামারিরা গরু পাশাপাশি মহিষ ও তুলছে। নাজিরহাট, বিবিরহাট, নানুপুর, কাজীরহাট চিকনছড়া শান্তির হাটসহ বিভিন্ন হাটবাজার। গরু পাশাপাশি মহিষ ও চোখে পারার মত।এ ছাড়া বিভিন্ন খামারে ও মহিষ লালন পালন এবং বিক্রি করার জন্য নিয়ে এসেছে খামারিরা।

নাজিরহাট বাজারে মহিষ কিনতে আসা জানে আলম বলেন আমি গত কয়েক বছর ধরে মহিষ দিয়ে কোরবানি করে আসছি। এবছর ও মহিষ কিনতে এসেছি। তাই বাজার দেখতে এসেছি।বিবিরহাট বাজারে মহিষ কিনতে আসা প্রবাসী বেলাল বলেন আমার মায়ের ইচ্ছার গরুর পাশাপাশি ১টি মহিষ কিনে কোরবানি দি।এ বছর ও মহিষ কোরবানি দেব।

নাজিরহাট বাজারের কুতুব শাহ বাড়ির মাওলানা মুহাম্মদ জাফর বলেন কোরবানি দেওয়ার জন্য মহিষ নিয়েছি।সুয়াবিল এলাকার মোঃ সোলাইমান বলেন আমার জন্য মহিষ নিয়েছি। আমারএক আত্নীয়র জন্য কোরবানি দিতে মহিষ নিয়েছি ২টি। প্রবাসী হাসেম বলেন আমি ও কোরবানি দেওয়ার জন্য মহিষ নেব।ব্যবসায়ী মোঃ ইয়াকুব বলেন কোরবানি দেওয়ার জন্য মহিষ চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। আমার জানা শুনা অনেকই কোরবানি জন্য মহিষ নিচ্ছেন।

প্রবাসী নাছির ও রুবেল বলেন আমাদের মা-বাবার কথার কারণে আমি এই বছর ও মহিষ কোরবানি করার জন্য নিয়েছি। বিক্রেতা জসিম বলেন গরুর পাশাপাশি মহিষ দিয়ে ও মানুষ এখন কোরবানি করে। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা মহিষ নিয়ে আসছি বাজারে।

খান ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী মাহবুব আলম খানঁ বলেন, গরু পাশাপাশি আমাদের খামারে মহিষ ও রয়েছে। এখন অনেকই কোরবানি দেওয়ার জন্য মহিষ নিচ্ছেন।

এদিকে গরুর চেয়ে মহিষের দাম বেশি বলেন জানান ক্রেতারা। বিক্রেতারা বলেন মহিষ গুলো দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করে আনতে হয়।খরচ বেশি পড়ে তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।

উল্লেখ্য যে মাইজভান্ডার দরবার শরীফসহ অসংখ্য অলিয়ে কেরামের মাজার বেশি রয়েছে। অলিয়ে কেরামের ওরশ শরিফে মহিষের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। সে সুবাদে ফটিকছড়িতে গড়ে উঠেছে অনেক খামার।এসব খামারে সারা বছর মহিষ পাওয়া যায়।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email