গরমে বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষেরা

 

দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া, বোয়ালখালী, চন্দনাইশ, কেরানিহাট, সাতকানিয়া, লোহাগড়া উপজেলার গুলোতে দিনমজুরি শ্রমিকরা এখন বিপাকে পড়েছে। তীব্র তাপদাহের দাপটে অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে জনজীবন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। অতি গরমে দিশেহারা নিম্ন মধ্যবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষেরা।

দৈনিক বায়েজিদ এর সরেজমিন রিপোর্টে দেখা যায়, তীব্র রোদে পুড়ছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সব উপজেলা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে তাপমাত্রা। একটু স্বস্থির জন্য সকলে খোঁজেন ছায়াযুক্ত জায়গা। দিনে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে তাপমাত্রা শুরু হয়ে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে থাকে। তীব্র এ গরমে সাধারণ মানুষ বের না হওয়ায় আয় কমেছে খেটে খাওয়া মানুষদের। স্বল্প আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ খেটেঁ খাওয়া মানুষ।

রিক্সাওয়ালা সফিকুল ইসলাম বলেন, ঘর থেকে বের হয়ে পটিয়া বাসস্ট্যান্ডে আসলাম, কিন্তু রোদের তেজ অনেক বেশি। একটু রোদে গাড়ি চালালেই শরীরে ঘাম আর জালাপোড়া শুরু করে। পানির তৃষ্ণা পাচ্ছে কিন্তু কিছু করার নেই। পানিসহ গরম। অপরদিকে রোদের তাপে লোকজন বাসা থেকে বের হচ্ছে না। ফলে রিক্সা ভাড়াও তেমন পাচ্ছি না। আবার জিনিসের দাম বেশি। সব মিলিয়ে অবস্থা খুবই খারাপ আমাদের।

পথচারী সুলতানা বেগম বলেন, প্রচন্ড গরম হওয়ায় বাইরে বের হওয়ায় অনেক কষ্ট হয়। জরুরী প্রয়োজনের কারনেই বাইরে বের হওয়া। এ সময়ে বৃষ্টি হলে অনেক ভালো হত।

আরেক রিক্সা চালক তহিদুল ইসলাম জানান, রোদের কারনে মানুষ আর বেশী বাইরে বের হয় না। সে কারনে আমাদের আয় হচ্ছে না। আগে দিনে ৬০০-৭০০ টাকা আয় হত। এখন ২৫০-৩৫০ টাকার মত হয়। আমাদের রিক্সা জমার টাকা তুলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

অন্যদিকে তীব্র গরমে অনেকের জ্বর, মাথা ব্যাথা, বিভিন্ন স্কুল কলেজ,মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারছেন না ক্লাসে, কেউবা রয়েছে মেডিকেল হাসপাতালে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email