বাংলাদেশের একমাত্র সর্ববৃহত্তর ফুডকোড রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে। এটি কক্সবাজার জেলার কলাতলী রোড লাবনী পয়েন্ট মোড়ে ৪১ হাজার বর্গফুট জায়গার উপর অবস্থিত। লালা সাদা রং মাখানো এক ছাতার নিচে রয়েছে জনপ্রিয় ফুডকোডটি। সূর্য ডোবার পরপরই প্রতিদিন জমে উঠে লাইভ মিউজিক, দেশি বিদেশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক গান।
হাজার বছরের সংস্কৃতির ঐতিহ্যে রকমারি খাবারেও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য খুঁজে পাওয়া যায় এখানে। আমাদের দেশের গ্রামীণ মেলা, পৌষ সংক্রান্তি উৎসব সহ শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষের নজর কাড়ে নানা স্বাদে রসনার এই জনপ্রিয় ফুডকোডে।
গত ১০ জানুয়ারি উদ্বোধন হওয়ার পর থেকে দেশ পেরিয়ে বিদেশী পর্যটকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে বৃহত্তর এই ফুডকোড
প্রতিষ্ঠানটি।
দিন দিন এসব খাবারের ক্রেতা বাড়ছে। শখের বশে খাবারগুলো একবার কেনার পর দেখা যাচ্ছে পুনরায় তারা আসছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন সহ প্রতি দিনই হাজার হাজার লোকের সমাগম ঘটে।
এখানে রয়েছে বাংলাদেশে বিখ্যাত পিৎজা, বারবিকিউ, বিফ বিরিয়ানি, চিকেন তন্দুরি, চিকেন ফ্রাই, বিফ ফ্রাই, থাই চাইনিজ, মম, হায়দ্রাবাদ বিরিয়ানি, মান্ডিহাড়ি বিরিয়ানি, এরাবিয়ান কফি,চাইনিজ কফি সহ প্রায় হাজারের ও অধিক স্বাদের খাবার পাওয়া যায়।
ভারতীয় এক পর্যটক জানান, কক্স কার্নিভালে এসে আমি প্রথম চমকপ্রদ হয়েছি, এখানকার পিৎজা খেয়ে, যেমন স্বাদ তেমনি ভারতীয় স্বাদ।
চীনা নাগরিক উসৈং মাক্স ফ্রু, বলেন,বেশ কয়েকবার কক্সবাজার সৈকতে আসা হয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম খাবার খেয়েছি, কিন্তু কার্নিভালের খাবারের স্বাদ ভিন্ন।