কাতার বিশ্বকাপ | পেনাল্টিতে দুই গোল বাঁচিয়ে সেমিতে ক্রোয়েশিয়া | নেইমারের রেকর্ড

বায়েজিদ ডেস্ক

ব্রাজিল পেনাল্টিতে দুই গোল মিস করায় সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে ক্রোয়েশিয়া।

নির্ধারিত ৯০ মিনিটেও যখন খেলা গোলশূন্য তখন গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ১০৫ মিনিটে নেইমারের গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল কিন্তু খেলা শেষ হওয়ার আগেই ক্রোয়েশিয়া গোল শোধ করে দেয়।

১১৬ মিনিটে ব্রুনো পেতকোভিচের দুর্দান্ত গোল তাদের এখনো বাঁচিয়ে রাখে বিশ্বকাপে। যার ফলে অতিরিক্ত ৩০ মিনিট শেষেও অবিচ্ছিন্ন দুই দল। তাই সেমিফাইনালে কে যাবে তা নির্ধারণ করতে এখন তাকিয়ে থাকতে হবে টাইব্রেকারের দিকে।
নেইমারের গোলে ডেডলক ভাঙল ব্রাজিল। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে গোলশূন্য থাকার পর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। আর সেখানেই বাজিমাত নেইমারের। ১০৫ মিনিটে অবশেষে অপ্রতিরোধ্য ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক লিভাকোভিচকে পরাস্ত করেন তিনি। লুকাস পাকেতার সঙ্গে ওয়ান-টু করার পর ডান প্রান্ত থেকে সুক্ষ্মকোণ দিয়ে বল জালে জড়ান নেইমার। এই গোলের মাধ্যমে কিংবদন্তি পেলেকে ছুলেন এই ফরোয়ার্ড। ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় ৭৭ গোল নিয়ে পেলের সঙ্গে শীর্ষে আছেন তিনি। কিন্তু বেশিক্ষণ এগিয়ে থাকতে পারেনি ব্রাজিল। গোলমুখে একটি মাত্র শট নিল ক্রোয়েশিয়া। আর তাতেই গোল। ওরসিচের পাস থেকে বাঁ পায়ের দুর্দান্ত শটে জাল খুঁজে নেন পেতকোভিচ।

এর আগে পুরো ৯০ মিনিট আক্রমণে পর আক্রমণে ক্রোয়েশিয়ার ডিফেন্স ও গোলরক্ষককে ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছে ব্রাজিল। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি। শতচেষ্টা করেও মুখ ফিরিয়ে নিতে হয়েছে নেইমার-রিচার্লিসনদের। দুর্গ রক্ষার পাশাপাশি পাল্টা আক্রমণে যায় ক্রোয়েশিয়াও। কিন্তু ব্রাজিলের ডি বক্সে সেভাবে কোনো আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারেনি।

এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে কাতার বিশ্বকাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালের শুরুটা হয় ম্যাড়মেড়ে। রেফারির বাঁশি বাজার পর ব্রাজিলকে চেনাই যাচ্ছিল না। ছন্দ খুঁজে পেতে সময় নেয় তিতে শিষ্যরা। তবে মিডফিল্ডে জায়গা হারাচ্ছিল ক্রোয়াটদের কাছে। তারপরও সেই দুঃসময় কাটিয়ে ওঠে সেলেসাওরা। কিন্তু কোনোভাবেই অতিক্রম করতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া গোলরক্ষক লিভাকোভিচকে। গোলমুখে ব্রাজিলের নেওয়া ৮টি শটের সবগুলোই ঠেকিয়ে দেন তিনি।

প্রথমার্ধে মারিও পাসালিচের নেওয়া ক্রস মিলিতাওয়ের চাপে ঠিকঠাক পায়ে লাগাতে পারেননি পেরিসিচ। ২০তম মিনিটে সুযোগ পায় ব্রাজিল। বক্সে রিচার্লিসনের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়ার এক পর্যায়ে শট নেন তিনি। সেটি অবশ্য ঠেকিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়া গোলরক্ষক। ৪২তম মিনিটে বক্সের খুব কাছেই ফ্রি-কিক পায় ব্রাজিল। নেইমারের নেওয়া শট ঝাপিয়ে ঠেকান ক্রোয়েশিয়া গোলরক্ষক।

৫৫ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে নেইমার রাইফেল ছুঁড়লেও তা জালের দেখা পায়নি। দারুণ দক্ষতায় তা ঠেকিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়া গোলরক্ষক ডমিনিক লিভাকোভিচ। ৬৬ মিনিটে আবারও ব্রাজিলের বাধা হয়ে দাড়ান তিনি। ক্রোয়েশিয়ার ডি বক্সে লুজ বল পেয়েছিলেন লুকাস পাকেতা। তাকে আটকানোর মতো কেউ ছিল না তখন। কিন্তু লিভাকোভিচ জাল রক্ষা করতে কোনো ভুল করেননি। কর্নারের মাধ্যমে পাকেতার সেই শট ফিরিয়ে দেন তিনি।

৭৬ মিনিটে নেইমারকে বাঁ প্রান্ত দিয়ে ঢোকার সুযোগ করে দেন রিচার্লিসন। লিভাকোভিচ ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন নেইমারের পায়ে বল থাকা মানেই বিপদ। তাই তাকে আটকাতে নিজের সর্বস্বটা উজাড় করে দেন তিনি। নেইমারের শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন এই গোলরক্ষক। দ্বিতিয়ার্ধের যোগ করা সময়ে বা পায়ে কাট করেন আন্তনি। কিন্তু তা সোজা চলে যায় লিভাকোভিচের হাতে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email