ঐ’ক্যম’তের জাতীয় স’রকা’র গঠন করাই বি’এ’ন’পির মূ’ল টা’র্গে’ট, ল’ক্ষ্মীপু’রে এ্যানি

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, বর্তমান দেশের শাসন ব্যবস্থা যেভাবে চলছে। একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় গনতন্ত্র। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সংসদীয় গনতন্ত্র, এটার ভিশন টুয়োন্টি-থার্টি আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে যে ৩১ দফা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে বিএনপি যে সংস্কার প্রক্রিয়া গ্রহন করছে। সেটা নিয়ে এখন কাজ চলছে।

রোববার (১১ মে)  সকালে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হাজিপাড়া যাত্রাপুর আহাম্মদিয়া মাদ্রাসা মাঠে ওয়ার্ড বিএনপির নেতা নির্বাচনী কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সংস্কার দুইটাই খুবই জরুরী। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার কাজ শেষ করে নির্বাচন দেয়ার আহবান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, দীর্ঘ সময় মানুষ ভোটে দিতে পারেনি। এবার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনকে আরো গতিশীল ও শক্তিশালী সংগঠন গড়ার লক্ষ্য ওয়ার্ড পর্যায়ে তৃনমূল নেতাকর্মীদের প্রত্যক্ষ ব্যালট পেপারের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত করা হচ্ছে।

এইভাবে ইউয়িন,থানা ও জেলাতে একইভাবে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট নেয়া হবে। তাহলে সত্যিকার অর্থে ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন করার মাধ্যমে যোগ্য নেতা নির্বাচিত হবে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে। দলকে আরো সুসংগঠিত করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ৫ আগষ্টের পর থেকে বিএনপি স্বেরাচার শেখ হাসিনা ও তাদের দোসদের বিচার চেয়ে আসছে। কিন্তু দৃশ্যমান কিছুই হচ্ছেনা। বিএনপি আইনের মাধ্যমে আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করার দাবী প্রথম থেকে তুলছে। সরকার আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক সকল কর্মকান্ড নিষিদ্ধ করছে। এটার সাথে বিএনপির দাবী মিলে গেছে। বিএনপি যেটা চেয়েছে, সেটাই হয়েছে। এটাই বিএনপির দাবী ছিল। এটার জন্য সাভার,যমুনাসহ পাড়া-মহল্লায় মিছিল করা ও গাড়ি আটকিয়ে মানুষের কষ্ট দেয়া ঠিক হয়নি। আলোচনার টেবিলে বসেই এটার সমস্যা সমাধান করা উচিত ছিল। যাহা হোক, এখন এটার বাস্তবায়ন করতে হবে খুব দ্রুত।

অতীতের কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন,স্বাধীনতার পর থেকে বিএনপি দেশের নেতৃত্বে দিচ্ছে। সে আলোকে বিএনপির দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। অভিজ্ঞতার আলোকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা দিয়েছে। এই ৩১ দফার মধ্যেই সব রয়েছে। তাই বিএনপির এখন মূল টার্গেট একটি। সেটা হলো ৩১ দফার মধ্যে দিয়ে জাতীয় ঐক্যমতের সরকার গঠন করা। জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সংস্কার দুইটাই খুবই জরুরী। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার কাজ শেষ করে নির্বাচন দেয়ার আহবান জানান তিনি।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকবে,কিন্তু প্রতিহিংসা থাকতে পারবেনা। সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবব্ধ থাকতে হবে। সবাই মিলে সুন্দর একটি বাংলাদেশ গড়তে হবে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশটাকে অনেক পিছিয়ে দিয়েছে। সেখান থেকে উদ্ধার করে আমাদেরকে আসতে হলে একদিকে সংস্কার প্রয়োজন। আরেকদিকে জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রয়োজন। একটি সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দিকে আমরা তাকিয়ে আছি। তাই সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কেউ যেন বাংলাদেশ নিয়ে আর ষড়যন্ত্র করতে না পারে, সেদিকে সবাই লক্ষ্য রাখতে হবে বলে জানান তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি নেতা ও জজকোর্টেও প্রসিউকিউটর আহমেদ ফেরদৌস মানিক, জেলা বিএনপি নেতা এডভোকেট হাফিজুর রহমান, চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির আহবায়ক বেলাল হোসেন, সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, বিএনপি নেতা গোলাম সরোয়ার, তুহিন চৌধুরী ,রিয়াজ ,আহসান উল্যা ও ইমন ওমর ছাত্রদল নেতা ইসমাইল হোসেনসহ জেলা উপজেলা,ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এরপর ভল্লবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মিয়াপুর ভূঁইয়াবাড়ি নুরানী মাদ্রাসা ও পশ্চিম মান্দারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ওয়ার্ড বিএনপির প্রতিনিধি ও কাউন্সিল অনুষ্ঠানে যোগ দেন শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email