সেলিম চৌধুরী
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে রাজস্ব শাখায় দায়িত্বরত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাজমুল আহসান এর বাসা থেকে নগদ ১৫ লক্ষ টাকা চুরির মামলায় কোন কুল কিনারা করতে পারেন পুলিশ , এরই মধ্যে চট্টগ্রাম ছাড়তে হচ্ছে এই এডিসিকে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করা এই মামলায় এখনও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে নি তদন্ত কারী কর্মকর্তা। এরই মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাজমুল আহসানের বদলী আদেশ আসলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের পক্ষ থেকে আজ ১৩ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) তাকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এ এদিকে মামলার একমাত্র আসামিকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়নি আসামি , উদ্ধার করতে পারেনি খোঁয়া যাওয়া নগদ টাকা। এবিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানা পুলিশ জানান মামলার অগ্রগতি আছে, তবে তদন্তের স্বার্থে এখন প্রকাশ করা যাবে না। এই মামলায় আদালতে শুনানির ধার্য্য তারিখ থাকলেও এজাহার নামীয় একমাত্র আসামি আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিলে পুলিশ রিপোর্ট না আসায় আদালত পরবর্তী ধার্য্য তারিখে শুনানির জন্য রাখেন।
সূত্র জানায় বাসা থেকে নগদ ১৫ লক্ষ টাকা চুরি হওয়ার অভিযোগে বিগত ৩ জুলাই কোতোয়ালি থানায় চুরির মামলা করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কর্মরত এডিসি (রাজস্ব) নাজমুল আহসান। চুরি মামলা রজু করার পর দ্রুত সময়ে এজাহার নামীয় একমাত্র আসামি তাঁরই গৃহকর্মী মনির হোসেন কে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে কোন আলামত উদ্ধার কিংবা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবাববন্দি আদায় করতে পারেনি তদন্তকারী কর্মকর্তা। এর প্রেক্ষিতে ১ মাস ৪ দিন পর ৯ আগস্ট আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে আসে আসামি।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায় এডিসির বাসায় চুরি হওয়া নগদ টাকার উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন উঠায় মামলা রজুর পর থেকে জেলা প্রশাসনের অনুরোধে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করে চলে থানা পুলিশ। শুরু থেকে মামলা সম্পর্কে কাউকে কোন তথ্য প্রদানে অস্বীকার করে চলছিল থানা পুলিশ। এ বিষয়ে আসামির আইনজীবী এডভোকেট পার্থ প্রতিম নন্দী, আসামী মনিরের বরাত দিয়ে এই প্রতিবেদক কে বলেন আসামি মনির সম্পূর্ণ নির্দোষ, সে ঘটনার সাথে কোন ভাবেই জড়িত নয় সে বিভিন্ন সময় এডিসি সাহেবের বাসায় নগদ টাকা স্বর্নালংকার দেখে থাকলেও কোন দিন সে ঐ দিকে হাত দেয় নি বরং সে এডিসি সাহেবের বিশ্বস্ত কাজের লোক বলে জানায়, হটাৎ চুরি হওয়ার ঘটনায় সন্দেহের বশবর্তী হয়ে তাকে আসামি করা হয়েছে বলে দাবী করা হয়। ঘটনার দিন আসামি মনির ও এডিসি সাহেবের একসাথে ঘর থেকে বের হয়ে যায় বলে জানান। এবিষয়ে কোতোয়ালি থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোন মন্তব্য করতে রাজী হয়নি।