জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. শাহদাত হোসেনের বক্তব্য চলাকালে মিছিল নিয়ে সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করেন যুবলীগ নেতা মো. ইদ্রিস আলম। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদের অনুসারী উপজেলা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী মিছিলটিকে বাধা দেয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি এবং চেয়ার ছোড়াছুড়ির শুরু হয়। এসময় মঞ্চে উপস্থিত নেতারা ‘জয় বাংলা’স্লোগান দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু পরিস্থিতি শান্ত না হওয়ায় সমাবেশস্থলে মোতায়েনকৃত পুলিশকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের অনুরোধ জানানো হয় মাইকে। তবে পুলিশ নিরব ভূমিকা পালন করে।
ঘটনাস্থলে থাকা আওয়ামী লীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করে শর্তে বাংলানিউজকে জানান, দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি চলাকালে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন অতিথির আসন ছেড়ে এসে মাইক্রোফোন হাতে নেতাকর্মীদের নিবৃত করার চেষ্টা করেন। এসময় তিনি যুবলীগ নেতা ইদ্রিসকে বিএনপির কর্মী বলে সম্মোধন করে স্লোগান থামাতে বলেন।
এবিষয়ে জানতে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সস্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ, প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহজাহান খান, প্রধান বক্তা চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদ মফিজুর রহমান ও বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।